ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

জমে উঠেছে জেলার ৪৪টি পশুর হাট

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::: caw-2
জমে উঠেছে কক্সবাজারের ৪৪টি পশুর হাট। তবে প্রতিটি পশুর হাটেই দেশীয় গরুর সংখ্যাই বেশী। যার ফলে পশুর মূল্য অন্য যেকোন বছরের চেয়ে বড়েছে। ঈদ একেবারে আসন্ন হওয়ায় বাজারে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। তবে বাজারে জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক এমন পশু বাজারজাত রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, এবারে ৪৪টি পশুর হাটের মধ্যে স্থায়ী ২১টি, অস্থায়ী ২৩টি পশুর হাট রয়েছে। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে অনুমোদনবিহীন কিছু পশুর হাট রয়েছে।, চকরিয়ায় ১০টি, মহেশখালী ৬টি, উখিয়ায় ৬টি, কক্সবাজার সদরে ৫টি, টেকনাফে ৭টি পেকুয়ায় ২টি, ও কুতুবদিয়ায় ২টি  পশুর হাট বসেছে। এ ছাড়াও কক্সবাজার সদর উপজেলায় একটি মহিষের হাট রয়েছে।
কক্সবাজার শহরের প্রধান পশুর হাট খুরুশকুল সড়কে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য পশুতে জমজমাট হয়ে উঠেছে বাজার। গত কয়েকদিন ধরে ক্রেতারা পশুর মূল্য নিয়ে একটু বিব্রত হলেও এখন পছন্দের পশুটি ক্রয় করে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা। এই হাটে পশু রাখার জন্য সারিবদ্ধ স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। খুরুশকুল রাস্তার মাথা পশু হাটের ইজারাদার নুরুল আজিম কনক বলেন, হাটে বিক্রির জন্য বিপুল সংখ্যক পশু এনেছেন ব্যবসায়িরা। আজ থেকে পশু বিক্রি আরো বাড়বে জমজমাট হয়ে উঠবে বাজার।
কক্সবাজার জেলায় অন্যতম পশুর হাট মহেশখালীর বড় মহেশখালী বাজারে এক পশু ব্যবসায়ি আমির হামজা জানান, যে দরে পশু বিক্রি হচ্ছে তা সন্তোজনক। ১২টি গরু নিয়ে গত এক সপ্তাহ আগে বড় মহেশখালীতে এসে এখন ৭টি গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি। আর ৫টি আজ অথবা কালকের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে। যারা পশু নিয়ে এসেছেন তারা সবাই সন্তোষ্ট।
এদিকে বিক্রেতারা সন্তোষ্ট হলেও ক্রেতাদের মাঝে রয়েছে অসন্তোষ। পিএমখালীর পশুর হাটে গরু ক্রয় করতে গিয়ে দেশী গরুর দাম শুনে চমকে উঠেছেন বলে জানালেন অলি আহমদ নামের এক ক্রেতা। তিনি জানান, প্রতিটি গরুরই ২০/২৫ হাজার টাকা বেশী দাম হাকা হচ্ছে। এতে অনেকেরই পশু ক্রয় করতে সমস্যা হচ্ছে।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পশুর হাটসহ সর্বস্তরে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা সাদা পোশাকে মাঠে থাকবে।

পাঠকের মতামত: